কুষ্টিয়ায় মাহমুদুল হাসান নামে এক আইনজীবীর বাসা থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস তুলি নামে নার্সিং ইন্সটিটিউটের এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তুলি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শহরতলী মোল্লাতেঘরিয়া গ্রামের ওহিদুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিং ইন্সটিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার জেলা স্কুলের সামনের একটি ৫তলা ভবনের ৩য় তলায় আইনজীবীর বাসা থেকে ওই তরুনীর মরদেহটি উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ।ঘটনার পর থেকে ওই আইনজিবী ও তার নববিবাহিত স্ত্রী গা ঢাকা দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া থানার পুলিশ জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের (৯৯৯) ফোন কল পেয়ে মফিজ উদ্দীন লেনের গোলাম নবীর বাড়িতে যান। সেখানে তিন তলার একটি ফ্ল্যাটের ভাড়াটে আইনজীবী মাহমুদুল হাসানের ফ্ল্যাটের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় জান্নাতুলের নিথর দেহ উদ্ধার করে।পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ছয় মাস আগে কুষ্টিয়া জর্জ কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমন ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার একটি ইউনিট ভাড়া নেন। ভাড়া নেবার পর নিহত জান্নাতুলকে অনেকেই ওই ফ্লাটে আসতে দেখেছেন। কয়েকদিন আগে মাহামুদুল হাসান নববিবাহিত স্ত্রী এশাকে নিয়ে ফ্লাটে ওঠেন। এরপর গত মঙ্গলবার বিকেলে তুলি বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই আইনজীবীর ফ্লাটে আসে। পরবর্তীতে রাতে ওই বাসার একটি কক্ষে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়। এঘটনার পর পরই পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, নিহত জান্নাতুলের মা শরিফা খাতুন বলেন, ২২ আগস্ট আমার মেয়ের জন্মদিন ছিল। সকাল ৮টার দিকে বান্ধবীর বাসায় যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। তার বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। রাতে বড় মেয়ের জামাইকে ওই উকিল (মাহমুদুল হাসান) ফোন করে জানান, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ে আত্নহত্যা করতে পারে না।আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি দোষীদের শাস্তি চাই।
কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।#